নান্দনিক কারুকার্য খচিত কাঠের তৈরি কাঠমান্ডু ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। খুলনার আড়ংঘাটার তেলিগাতী বাইপাস সড়কের পাশেই অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটি।

রেস্টুরেন্টটিকে আরো নান্দনিক করতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে আকর্ষণীয় আলোকসজ্জার কাজও শেষ হয়েছে।আগামী শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জমকালোভাবে উদ্বোধন করা হবে এটি।

২০২২ সালের প্রথম দিকে রেস্টুরেন্টটির কাজ শুরু করা হয়।স্থাপনাটি আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে শুরু থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ১২ জন কাঠমিস্ত্রি এবং পরবর্তীতে ছয়জন মিস্ত্রি একাধারে প্রায় এক বছর চার মাস ধরে কাজ করে তিন শতাংশ জমির ওপর এই রেস্টুরেন্টটি নির্মিত হয়েছে। এটি কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাদা ও লালের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিরবাড়ি এবং শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের কাঠের তৈরি স্থাপনা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে খানজাহান আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বিশ্বাস প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করে দেশীয় কারুকাজে এই রেস্টুরেন্টটি তৈরি করেন। নান্দনিকতায় নির্মিত এই রেস্টুরেন্টটি দেখতে এখনি দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় করছেন।

জানা গেছে, ফুলবাড়ীগেট-তেলিগাতী বাইপাস সড়কের শেষ প্রান্তে কাঠমান্ডু রেস্টুরেন্টটি নির্মাণে স্থানীয় খানজাহান আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বিশ্বাস প্রায় ২১ লাখ টাকা দিয়ে তিন শতাংশ জমি কিনেন। ২০২২ সালের প্রথম দিকে এই রেস্টুরেন্টটির স্থাপনার কাজ শুরু করেন। প্রায় এক বছর চার মাসের কাজ শেষে এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত ব্যতিক্রমী এই আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন রেস্টুরেন্টটি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। ২৫ ফুট উচ্চতার তিনতলা বিশিষ্ট এই স্থাপনাটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ ও বাঁশ।

রেস্টুরেন্টটি নির্মাণে ৫শ সেপ্টির বেশি কাঠ, ২শ বেশি বাঁশ ব্যবহৃত হয়েছে। সম্পূর্ণ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নির্মাণশৈলী দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনাটির কারুকাজ ও নকশাসহ বিশেষভাবে তৈরিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগর দিয়ে এটি নির্মিত হয়েছে।

ভোজন রসিকদের জন্য শুরুতে এখানে থাকছে খুলনার ঐতিহ্যবাহী চুইঝালের গরুর মাংস, হাঁসের মাংস দিয়ে কালাই রুটি, চালের গুড়ার রুটি, কয়লার আগুনে মাটির হাঁড়িতে দেশীয় খাটি সরিষার তেল দিয়ে বিহারী মাটন হান্ডি, বিপ, ফাস্টফুড, হালিমসহ ভোজন বিলাসীদের জন্য থাকছে বাহারি খাবারের সমারোহ।

কাঠমান্ডু রেস্টুরেন্টটির মালিক স্থানীয় খানজাহান আলী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বিশ্বাস বলেন, বড় বড় কবি, সাহিত্যিকদের কাঠের তৈরি স্থাপনা দেখতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকরা ভিড় জমায়। চেষ্টা করেছি তাদের সেই কাঠের তৈরি স্থাপনা করে সবার নজরকাড়ার। অভ্যন্তরীণ কাজের আকর্ষণীয়তা শেষে রাতের আঁধারে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে স্থানীয়ভাবে করা হয়েছে বিশেষ আলোকসজ্জা।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর পালিশসহ ফিনিশিংয়ের কাজ শেষ হয়।রেস্টুরেন্টটিতে একসঙ্গে ১৫০ জন সেবা নিতে পারবে। দৃষ্টিনন্দন ও ব্যয়বহুল কাঠমান্ডু রেস্টুরেন্ট এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।